যমুনা নদীর উৎপত্তি তিব্বত থেকে। প্রমত্তা এই নদী বাংলাদেশকে করে তোলে দুটি ভিন্ন ভূখন্ডে। যমুনার দুপাড়ের কানেকটিভিটি না থাকায় পূবাঞ্চল ব্যাবসা, বানিজ্য, শিল্প বানিজ্যে যে পরিমান সুবিধা পেয়েছে তা পশ্চিমাঞ্চল কে ক্রমে ক্রমে পিছিয়ে দিয়েছে।
দেশের এই দুখন্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়ায় - ফেরী ঘাট প্রকৃতি নির্ভর।
এসব বিবেচনায়, জনদাবীর মুখে 1969 সালে পাক সরকার যমুনা নদীর উপর সেতু নির্মানের পরিকল্পনা করেন এবং যুক্তরাজ্যের মেসার্স ফ্রিম্যান এন্ড পাটনার্স কে সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানটি প্রায় 6 মাস পর সিরাজগঞ্জের কাছে দু লেন ডাবল ডেক বিশিষ্ট রেল কাম রোড সেতু নির্মানের সুপারিশ করেন।
1969 এর আন্দোলন 71 এর মুক্তিযুদ্ধের কারনে এগোয়নি এই প্রকল্প।
দেশ স্বাধীনের পর জাইকাকে আবারও সেতুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ দেয়া হয়। জাইকা প্রায় 4 বছর পর সিরাজগঞ্জের প্রায় 10 কিমি দক্ষিনে রেলকাম রোডসেতু নির্মানের সুপারিশ করেন। যখন প্রসিডেন্ট জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় তিনি বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে যমুনার ব্রীজের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভতা তুলে ধরে ব্যাপক প্রচারনাচালান এবং বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে বৃজ নির্মানের খরচের আশ্বাস পান।
অতপর তিনি নিহত হলে থেমে যায সবকিছু।
এবার ক্ষমতায় আসেন জেনারেল এরশাদ।
তিনি বৃজ বাদ দিয়ে পূর্ব থেকে পশ্চিমে বৃজের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে শুধু মাত্র গ্যাস সংযোগ দেয়ার উদ্যেগ নেন।যা সম্ভব্যতা কমিটি বৃজকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র গ্যাস সংযোগ দেয়ার পরিকল্পনাকে বাদ দিয়ে দেন। চলবে